অভিশাপ কত ছোট শব্দ তাই না।কয়েকটা অক্ষর দিয়ে তৈরি একটি শব্দ। কিন্তু এই ছোট শব্দ কত বড় অর্থ বহন করে আমরা অনেকেই জানি না।
আমরা অভিশাপ দিতে পছন্দ করি।কিছু হলেই, কষ্ট পেলেই অভিশাপ দিয়ে দেই। কি সহজেই বলে দেই “তোর কপাল পুড়বে,তুই জীবনে শান্তি পাবি না"আরো কত কিছু......? আচ্ছা যখন কেউ একবার অভিশাপ দেয়,, তখন সে কি চিন্তা করে দেয়? নাহ , কারণ অভিশাপ হয় রাগের মাথায় নাহয় কষ্টের মধ্যে। তখন আপনার-আমার কারোর ব্রেন সঠিক ভাবে কাজ করে না। কিন্তু অভিশাপ দিয়ে দিতে পারি সহজেই। আমার মনে হয় কেও যদি সঠিক ভাবে অভিশাপ সম্পর্কে পড়ে অথবা গবেষণা করে তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় সে কখনো আর কাউকে অভিশাপ দিবে না। অভিশাপ কখনো কষ্ট করে দিতে হয় না।অভিশাপ একা একা লাগে।কেন লাগে?উদাহরণ স্বরূপঃ মনে করুন আপনি একজন মরুব্বি বা একটা লোকের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছেন। সেই লোকটা ঐ ব্যবহারে কষ্ট পেলো,সে মুখ ফুটে বললো না কিছু অথবা অভিশাপ দিলো না। কি ভাবছেন?অভিশাপ লাগবে না?অভিশাপ লাগবে! এই অভিশাপ রুহ থেকে যায় মুখ থেকে না।আর রুহ থেকে অভিশাপ কতখানি বিচার করে সেটি আর না বললেই চলে।
আবার ধরতে পারেন আপনি কাউকে এতটাই কষ্ট দিছেন,সে কান্না করতে করতে নিজে শেষ।এমনকি ধরুন নামাজের পাটিতে বসেও কান্না করেছে?কি ভাবছেন?এখানেও সেই কান্না করা ব্যক্তি কিন্তু অভিশাপ দেয় নাই মুখ ফুটে।ঐ যে কান্না করেছে রুহ বিচার দিছে আল্লাহ কাছে।আল্লাহর বিচার দুনিয়াতেও হয় আর মৃত্যুর পরের জীবনে তো হবেই।তাই সাবধান,কাউকে কষ্ট দিবেন না দয়াকরে।
অভিশাপের অংশীদার না হবার চেষ্টা করবেন সবসময়।