ভালোবাসা কি?ভালোবাসার কোনো সংজ্ঞা হয় কখনো? যদি কখনো পাশাপাশি বসে থাকা দুইজনের কাছে প্রশ্ন করা হয় ভালোবাসা কি?দেখবেন দুজনই ভিন্ন মতবাদ বা উত্তর দেবে। কিন্তু দুই উত্তর এ ভালোবাসার সুন্দর বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। তাই ভালোবাসার নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা নেই বললেই চলে।কিন্তু মানুষের মৃত্যু বলেন অথবা মানসিক রোগের কারণ বলেন দুই ক্ষেত্রেই ভালোবাসা তার অবস্থান জানান দিতে জানে।কেন জানেন? কারণ হিসেবে কোনো এক পক্ষ তার রূপের পরিবর্তন ঘটিয়েছে।এখানে রূপ বলতে আপনারা আবার চেহারা কে বুঝবেন না দয়াকরে। এখানে ভিতরে যে রূপ যা কেও চাইলেও দেখতে পারে না,সেই রূপ কে বুঝানো হয়েছে। মানুষ দেখবেন কথা দেওয়া যতটা সহজ মনে করে আবার সেই কথা ভঙ্গ করতে সেকেন্ড নেয় না।ভালোবাসার ক্ষেত্রেও কত কথা, দেখবেন ভালোবাসার শুরুতে একটা কমন কথা “আমি তোমাকে ছেড়ে কখনো যাবো না" সেই ব্যক্তিই চলে যায়। আর অপরপক্ষ তার প্রতি এতটাই দুর্বল হয়ে থাকে যে, তার চারিদিকে শুধু অন্ধকার দেখতে পায়। মনে হয় বিষাদময় হয়ে গেছে তার দিন-রাত।
সে এমন এক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যায়, সেখানে সে শুধুই অপরাধী। কিন্তু তার তো কোনো দোষ নেই। যে যাবার সে তো যাবেই। আজ হোক বা কাল। কিন্তু আমরা যে বাঙালি আমরা এটিকে সহজ ভাবে নিতে পারি নাহ। মৃত্যু পর্যন্ত তার স্মৃতি মুছতে পারি না। তার তো দুর্বলতা রেখেই দেই। কিন্তু দেখবেন যে আপনাকে ছেড়ে গেছে সে দিব্বি তার বন্ধু-বান্ধবের সাথে আনন্দে দিনযাপন করছে। আর আপনি তার জন্য কান্না করে বালিশ ভিজিয়ে ফেলছেন। একটা সত্য কথা কি জানেন,আপনার কান্না দেখে সেই ব্যক্তি মজা পায়। তার হাসির কারণ হয় আপনার কান্না।
একটা পালিত পোষা প্রাণীর চোখেও যদি পানি আসে তখন মনে এক ধরনের আঘাত হানে । কিন্তু ভালোবাসা ক্ষেত্রে সেই আঘাত হানা দেয় না।
আপনি হয়তো মনে মনে বলেন আল্লাহ কি দেখে না। আল্লাহ সবই দেখেন! সবই বিচার করেন। কোনো না কোনো মাধ্যমে বিচার ঠিকিই হয় চোখের পানির। কিন্তু একটা জিনিস কি জানেন, যখন স্বয়ং আল্লাহ বিচার করেন তখন কিছু লোক জানে কি কারণে এমন হলো, আবার কিছু লোক জানতেই পারে না।
তাই আপনি বাদ দিন কান্না করা, কান্না করলে যদি সে ফিরে আসে সেটি হবে ভিক্ষা। ভালোবাসার ভিক্ষা দিয়ে কি হবে? যদি সেখানে সত্য ভালোবাসা না থাকে? যদি মন থেকই সে না ফিরে আসে? বাদ দেন ভালোবাসার ভিক্ষা চাওয়া। কষ্ট হবে, কষ্ট সহ্য করতে হবে। কষ্ট সহ্য করার ভিতর এক ধরনের মজা রয়েছে সেটি আপনিও আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন। শক্ত করুন নিজেকে,তৈরি করুন নিজের মনকে। মনের কষ্ট মনের ভিতরে আপনি আকড়ে রেখে দিন।সেটিকে কাজে লাগান অন্য কোনো ভাবে!দেখবেন সবই ঠিক হয়ে যাচ্ছে।
আর একটা কথা মাথায় রাখুন, সে আপনার সাথে থাকবে না জেনেই আপনার সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলো।এই জন্য বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে চলে যেতে পারে।যদি থাকার হয় ,কোনো কারণ লাগে নাহ।এমনিতেই থাকা যায় মৃত্যু পর্যন্ত। ভালোবাসা সেটাই যেখানে কোনো কারণ ইফেক্ট করে না।কোনো সত্যি মিথ্যার বিচার হয় না, হলেও সেটির সমাপ্তির ঘোষণা দিয়ে আবারো দুইজন একে-অপরকে জড়িয়ে ধরতে জানে।এটাই ভালোবাসা।
আগের যুগের ভালোবাসার সাথে কখনোই বর্তমান ভালোবাসা তুলনা করা যাবে না ।যে তুলনা করে সে নিতান্তই বোকা।কোনো কিছুর সাথে কিছু তুলনা করতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা লাগে।তার মধ্যে যোগ্যতা অন্যতম।তাই আগের যুগের ভালোবাসার যে যোগ্যতা ছিলো বা আছে তার নূন্যতম যোগ্যতা বর্তমান যুগের ভালোবাসাতে নেই ।